এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পর্দা নামবে আগামীকাল শুক্রবার ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে। ট্রফি জয়ের লড়াইয়ে নামবে মুশফিকুর রহিমর খুলনা টাইগার্স ও আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়্যালস। খুলনা এই প্রথম ফাইনালে উঠলেও রাজশাহীর আরও একবার ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ট্রফির লড়াইয়ে নামবে দুই দল। মাঠে যে দল সেরাটা দিতে পারবে তার হাতেই সন্দেহাতীতভাবে উঠবে ট্রফি। কাগজ কলমে পরিসংখ্যানে কারা এগিয়ে? মুশফিকের খুলনা নাকি রাসেলের রাজশাহী?
তবে টি-টোয়েন্টি এমন একটি সংস্করণ যেখানে বড় দল ছোট দল কোনো কাজ করে না। নিজেদের দিনে যে কেউ যে কাউকেই হারিয়ে দিতে পারে। রাজশাহীর প্রধান শক্তি যদি তাদের বোলিং বৈচিত্র্য হয়, তবে খুলনার শক্তি হবে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ।
একটু পরিসংখ্যানে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে গ্রুপপর্বে চারবারের দেখায় প্রত্যেক দলই দুবার করে জিতেছে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে অবশ্য খুলনা জিতে যায়। অর্থ্যাৎ পাঁচবারের দেখায় এগিয়ে খুলনা। রান রেটেও অনেক এগিয়ে মুশফিকুর রহিমরা। রানরেট যেখানে খুলনার ০.৯১২ সেখানে রাজশাহীর ০.৪২। গ্রুপপর্বে দুই দলই জিতেছে আটটি করে ম্যাচ।
দুই দলের শক্তিমত্তায় ব্যাটিং বোলিং বিবেচনায় এগিয়ে খুলনা। দলটির ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত শুরুতে ফর্মে না থাকলেও শেষ দিকে এসে সেঞ্চুরিও পেয়েছেন। অধিনায়ক মুশফিক টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (৪৭০)। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন তার দলেরই ব্যাটসম্যান রাইলে রুশো (৪৫৮)। বোলিংয়ে কম নয়। মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে আছে রাইলে রুশো। আমির এখন পর্যন্ত নিয়েছেন ১৮টি আর ফ্রাইলিংক ১৯টি উইকেট। দুজনেই আছেন সেরা পাঁচে। নিজেদের দিনে তারা অনেক ভয়ংকর।
রাজশাহী রয়্যালসের বোলিং বৈচিত্র্য থাকলেও সেরা পাঁচে কেউ নেই। ১২ উইকেট নিয়ে মোহাম্মদ ইরফান আছেন ১০ নম্বরে। অধিনায়ক রাসেল নিয়েছেন ১২টি উইকেট। তবে বৈচিত্র্যতায় এগিয়ে থাকায় তাদের বোলিং শক্তি দুর্দান্ত। ব্যাটিং দলটির প্রধান শক্তি শোয়েব মালিক। ৪৪৬ রান নিয়ে তিনি তিন নম্বরে অবস্থান করছেন। এ ছাড়া শুরুতে দুর্দান্ত খেলছেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। দুজনেই রান সংগ্রাহকের তালিকায় সেরা দশে আছেন। কিন্তু দলটির প্রধান সমস্যা হলো টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে হাল ধরার মতো কেউ নেই। রাসেল ভয়ংকর হলেও সবদিন তিনি দাঁড়াতে পারেন না।
ফাইনালকে সামনে রেখে আজ মিরপুরে ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করেন দুই অধিনায়ক। দুইজনেই ট্রফি ছুঁয়ে হাসিমুখে পোজ দেন ক্যামেরার সামনে। কিন্তু কাল ট্রফি নিয়ে হাসবেন শুধু একজনই। কে তিনি? মুশফিক নাকি রাসেল? এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু সময়।